15 Disem 2020, 05:46 Pm
পুলিশকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক অপারেশনাল গিয়ার। এর মধ্যে থাকবে ট্যাকটিক্যাল বেল্ট, স্মল আর্মস উইথ থাই হোস্টার ও হ্যান্ডস ফ্রি কমিউনিকেশন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি জানান, অপারেশনাল গিয়ারের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বেল্টে রক্ষিত থাকবে। হাত থাকবে পরিপূর্ণ খালি। দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন আরামদায়ক হওয়ার পাশাপাশি অপারেশনাল দক্ষতা বাড়বে।
প্রথম ধাপে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৭ হাজার সদস্য ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৩ হাজার সদস্যরা এই অপারেশনাল গিয়ার পাবেন। যা পর্যায়ক্রমে সব মেট্রোপলিটনে, জেলা পর্যায়ে এবং গ্রাম পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গেও এই গিয়ার যুক্ত হবে।
এ ব্যাপারে আইজিপি বলেন, উন্নত বিশ্বে রুটিন ডিউটিতে পুলিশ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেন না। এখন থেকে আমরাও সেই বিষয়টি প্রচলন করতে চাই। প্রথমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আগামীকাল থেকে এটি ব্যবহার করবে। এরপর ধাপে ধাপে সবক্ষেত্রে এটির প্রচলন করা হবে।
আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে ডিএমপি ও সিএমপি তাদের সদস্যদের নতুন ধারার সঙ্গে যুক্ত করতে পারবে। এর ফলে পুলিশ সদস্যরা কোনো ধরনের অস্বস্তি ছাড়াই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। আমরা চাই না ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ একহাতে ওয়্যারলেস ধরে থাকুক, এক হাত অকোপাইড হয়ে থাকুক। নতুন গিয়ার সংযোজনের ফলে ওয়্যারলেস চলে যাবে বেল্টে। কাঁধে সংযোজিত মাইক্রোফোনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা ওয়্যারলেস ব্যবহার করতে পারবেন।
অপারেশনাল গিয়ার সংযোজনকে পুলিশের হার্ডওয়্যারগত পরিবর্তন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পাশাপাশি সফটওয়্যারগত পরিবর্তন অর্থাৎ আচরণগত পরিবর্তন জরুরি। আমরা চাই পুলিশের সর্বকনিষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ পদের সদস্যদের আচরণ হবে সর্বোচ্চ অনুকরণীয়। হার্ডওয়্যারগত পরিবর্তন করে প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব না, এজন্য সফটওয়্যারগত পরিবর্তন দরকার। মনেজগতের পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা দ্রুতই নতুন পরিবর্তনের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।
রুটিন ডিউটিতে পুলিশের ক্ষুদ্রাস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়বে এবং এর সুবিধা দেশবাসী ভোগ করবে বলে আশাবাদী তিনি।
নতুন গিয়ারে যুক্ত করতে আপাতত কোনো ক্ষুদ্রাস্ত্র আমদানি করতে হয়নি। স্টকের অস্ত্র দিয়েই এগুলো প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে। রুটিন ডিউটিতে পুলিশ সদস্যরা এই অস্ত্র সঙ্গে রাখলেও অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে লং আর্মসের ব্যবহার অব্যাহত রাখবে পুলিশ।
সর্বাধুনিক এই অপারেশনাল গিয়ার চালু করার উদ্দেশ্য:
১। পুলিশ সদস্যদের কর্মদক্ষতা ও অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে দায়িত্ব পালনকালে হাত খালি বা হ্যান্ডস ফ্রি রাখা।
২। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে রুটিন দায়িত্ব পালনকালে ভারী ও বহনে কষ্টকর লং আর্মসের পরিবর্তে হালকা ও সহজে বহনযোগ্য শর্ট আর্মস ব্যবহার করা।
৩। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে অধিক ক্যাজুয়ালটি এড়াতে অত্যধিক ক্ষমতাসম্পন্ন লং ব্যারেল আর্মসের ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে আনা।
৪। পুলিশ সদস্যদের দীর্ঘক্ষণ দায়িত্ব পালনকে সহজ করে কমফোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
৫। উপনিবেশিক উত্তরাধিকার ধারা থেকে বেরিয়ে আসা।
৬। বিশ্বের অপরাপর আধুনিক দেশের ন্যায় বাংলাদেশ পুলিশকে গড়ে তোলা।
৭। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে মানসিক দূরত্ব কমিয়ে আনা এবং পুলিশী সেবাকে আরও সহজসাধ্য করা।
সর্বাধুনিক এই অপারেশন গিয়ার চালু করার বিশেষত্ব: একজন পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব পালনকালে যেসব সরঞ্জামাদির প্রয়োজন হয়, তার সবগুলোই এই অপারেশন গিয়ারের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
জনশৃংখলা রক্ষায় পুলিশের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো এমনভাবে সংযোজন করা হয়েছে, যাতে দায়িত্বপালনকালে একজন পুলিশ সদস্য খুব সহজেই দরকারি জিনিস মুহূর্তের মধ্যেই পেয়ে যান। ট্যাকটিক্যাল বেল্টের সঙ্গে থাই হোলস্টার যুক্ত করে সেখানে স্মল আর্মস রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও বেল্টের সঙ্গে এক্সপ্যান্ডেবল ব্যাটন, টর্চলাইট, হ্যান্ডকাফ ও ওয়াটল বটল রাখার সুযোগ রয়েছে।
জরুরি মুহূর্তে দ্রুত মেসেজ আদান-প্রদান নিশ্চিত করতে ওয়ালেস সেটের সঙ্গে একটি মাইক্রোফোন ও ওয়ালেস সেট জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যরা ওয়ালেস সেট মুখের কাছে না এনেই মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারবেন।
নতুন এই অপারেশন গিয়ার চালু করায় পুলিশ সদস্যদের আগের মতো কাঁধে বা হাতে করে অস্ত্র বহন করতে হবে না। হাত ফাঁকা থাকায় জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে দুই হাত ব্যবহার করেই সহযোগিতার জন্য এগোতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও সর্বাধুনিক এই অপারেশন গিয়ার বাংলাদেশ পুলিশকে একটি স্মার্ট লুক এনে দেবে।
13 Disem 2020, 09:20 Pm
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে সে জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ‘আমরা আশা করি ভবিষ্যতে ভালো দিন আসতে পারে, আমাদের শিশুরা তাদের স্কুলে যেতে সক্ষম হবে, তারা স্বাভাবিকভাবে তাদের পড়াশোনা শুরু করবে। আমরা সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি‘।
রোববার গণভবন থেকে মিরপুর সেনানিবাসের জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজে শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স ডিএসসিএসসিতে জাতীয় প্রতিরক্ষা কোর্স এবং সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ কোর্সের স্নাতক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার কোভিড-১৯–এর জন্য স্কুল খুলতে পারছে না। অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুরা যদি তাদের স্কুলে যেতে না পারে, তবে এটি তাদের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সরকার যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। আবারও করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল আতাউল হাকিম সরোয়ার হাসান বক্তব্য দেন।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে স্কুল–কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে। তা ছাড়া চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার। বর্তমানে অফিস-আদালতের কার্যক্রম ধীরে ধীরে চালু হয়ে গেলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো খুলে দেওয়া হয়নি।
13 Disem 2020 , 09:13 Pm
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত বলে জানিয়েছে র্যাব। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত ছকেই সংঘটিত হয়েছে। সেই মোতাবেক এই মামলার চার্জশিটও দেয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
র্যাবের সূত্রমতে, এই হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে।
রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে সিনহা হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। ওই সময় আদালত মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ইয়াবা বাণিজ্যের সাথে ওসি প্রদীপের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সিনহা রাশেদ হত্যা মামলার চার্জশিট নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ইউটিউবের কাজের জন্য টেকনাফ যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। সেখানে গিয়ে ওসি প্রদীপের অপরাধ সাম্রাজ্য জেনে ফেলেন তিনি। ওসি প্রদীপের ইয়াবা বাণিজ্য নিয়ে মেজর সিনহা ইন্টারভিউ নিতে চাইলে এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনা করেন ওসি প্রদীপ। পরে লিয়াকতসহ বাকি আসামিদের নিয়ে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়।
পরে এ ঘটনায় আদালতে হত্যা মামলা করেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। গত ৫ আগস্ট আদালতে করা এই মামলায় তিনি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ পুলিশের নয় সদস্যকে আসামি করেন।
পরে চারটি মামলারই তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। একপর্যায়ে র্যাব এ ঘটনায় প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের ১১ জন পুলিশ সদস্য ও ৩ জন গ্রামবাসী।
পুলিশের করা তিনটি মামলার তদন্তে উত্থাপিত অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে র্যাব। গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার আদালতে তিন মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় বলে মামলা তদন্তকারী সংস্থা র্যাব জানিয়েছেন।
হত্যাকাণ্ড আড়াল করতে পুলিশের ভিন্ন কৌশল
পাশাপাশি ওইদিন (৩১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের দিকে আসার পথে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশির নামে গাড়ি থেকে নামিয়ে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদকে গুলি করে হত্যা করে ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী। ওই সময় সিনহার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে (সিফাত) পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে পুলিশ। পরে নুরকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।
এদিকে সিনহা হত্যার ঘটনায় টেকনাফ ও রামু থানায় পৃথকভাবে মোট চারটি মামলা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। তিনটি মামলার দুটি মাদক রাখার অভিযোগে এবং একটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে।
র্যাব যেসব তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে
চার্জশিট জমা দেওয়ার পর সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিনহা হত্যার ঘটনায় মাদক ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা তিনটি মামলার সত্যতা পাওয়া যায়নি। যে কারণে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) পুলিশের করা তিনটি মামলার তদন্তে উত্থাপিত অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দিয়েছেন র্যাব। পাশাপাশি সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের করা মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জন আসামি কারাগারে রয়েছেন। একজন আসামি টেকনাফ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাগর দে পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৩ জুলাই ‘জাস্ট গো’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাভেলস শো ডকুমেন্টারির শুটিংয়ের জন্য তিনজন সহযোগীসহ কক্সবাজারের নীলিমা রিসোর্টে ওঠেন মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই খবর পৌঁছায় টেকনাফের তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমারের কাছে। তখন থেকেই ওসি প্রদীপ অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘ভিডিও পার্টিকে এখান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে যেকোনো মূল্যে।’ এরপর থেকেই সিনহাকে নজরদারিতে রাখেন পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এমন তথ্যও তদন্তে ওঠে এসেছে।
যে কারণে ৩১ জুলাই সকাল থেকেই তার গতিবিধি লক্ষ্য রাখা হয়। ফলে একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘ বৃক্ষরোপণ’ অনুষ্ঠান শেষে ওসি প্রদীপকে জানানো হয়, মেজর সিনহা রাশেদ প্রাইভেটকার নিয়ে টেকনাফের শামলাপুর পাহাড়ে গেছেন। এ সময় সোর্সের মাধ্যমে বাহারছড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী সিনহার প্রতি নজর রাখতে থাকেন।
13 Disem 2020, 12:08 Pm
মহান বিজয় দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আজ ১৩ ডিসেম্বর (রবিবার) থেকে ১৫ ডিসেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় সর্বসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (১২ ডিসেম্বর) এক তথ্য বিবরণীতে এতথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এর অভ্যন্তরে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে আমন্ত্রিত অতিথিরা স্মৃতিসৌধ ত্যাগ না করা পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
13 Disem 2020, 10:43 Am
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় মন্তব্য করেছেন যে, একাত্তরের জামায়াতে ইসলামের মতো করে এখন হেফাজতে ইসলাম নতুন রাজাকার হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙে স্বাধীনতার চেতনার ওপর হামলা করা হয়েছে। স্বাধীনতার চেতনার ওপর যারা হামলা করবে তাদের রাজাকারদের মতো বিচার করা হবে। এসময় সজীব ওয়াজেদ জয় মৌলবাদী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী ও রাজাকারদের বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
শনিবার রাতে চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে তারা সাহস করেছে জাতির পিতার মূর্তি ভাঙার। তাদের এই সাহস! জাতির জনকের মূর্তির ওপর হামলা করাটা কী? এটা হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার চেতনার ওপর হামলা। আমাদের স্বাধীনতার চেতনার ওপর হামলা কারা করেছে, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তাদেরকে আমরা কী বলি? তাদেকে আমরা কী ডাকি, তাদেরকে আমরা রাজাকার ডাকি। একাত্তরে ছিল জামায়াত আর এখন হেফাজতও সেই নতুন রাজাকার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ‘
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি, এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক উন্নয়নশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছি, করে ফেলেছি। তবে এখানে দুঃখের বিষয়, একটি সতর্কতায় আমি শেষ করতে চাই, সেটা হল যে, এক শ্রেণি আছে আমাদের দেশে তারা ইতোমধ্যে খুব মাথা উঁচু করেছে দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টায়। ‘
আগামীতে ৫-জি ইন্টারনেট চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যেখানের থ্রি-জি ছিল না সেখানে আমরা এখন ফোর-জি চালু করে দিয়েছি সারা দেশে। আগামী বছরের মধ্যে আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে ফাইভ-জি চালু করা। ‘
এর আগে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন।
11 Disem 2020, 4:58 pm
শুধু প্রযুক্তির ব্যবহার নয় বরং এর উৎপাদনেও বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এর জন্য গবেষণার ওপর নজর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার ‘চলমান ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০ এর দ্বিতীয় দিনে মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যোগ দেন সজীব ওয়াজেদ জয়। কনফারেন্সে কী-নোট স্পিকার এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা। সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ তৈরি করছি। নজর দেওয়া হচ্ছে গবেষণার ওপর। অন্যদের কাছ থেকে প্রযুক্তি নিয়ে ব্যবহার করার জন্য নয়। আমরা ভবিষ্যত প্রযুক্তিখাতে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে চাই। আর সেই প্রযুক্তি তৈরি হবে দেশেই। এটা স্বপ্ন নয়, এটাই হবে বাস্তবতা। ভবিষ্যতের বড় বড় প্রযুক্তির কিছু কিছু বাংলাদেশ থেকেই তৈরি হবে। তেমন পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
গত এক দশক ধরে বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরে নেওয়া নানা উদ্যোগ ও তার সুফল কীভাবে দেশ ও দেশের মানুষ পাচ্ছে তাও উঠে আসে ‘এম্ব্রেসিং ডিজিটাল টেকনোলজিস ইন দ্য নিউ নরমাল’ শীর্ষক এই কনফারেন্সে। এ বিষয়ে নিজ বক্তব্যে ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন আইসিটি উপদেষ্টা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন শ্রীলঙ্কার মিনিস্ট্রি অব টেকনলোজি সেক্রেটারি জয়ন্ত ডি সিলভা, মালদ্বীপের কমিউনিকেশন, সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মিনিস্টার মোহাম্মদ মালেহ জামাল, নেপালের ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব অনিল কুমার সাহা, উইটসার সেক্রেটারি জেনারেল ড. জেমস পয়জন্ট।
নওশের রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরিফ, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০ এর তিন দিনব্যাপী আয়োজনের বৃহস্পতিবার ছিলো দ্বিতীয় দিন। শুক্রবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে এই আয়োজন।