19 Disem 2020 , 01:04 Pm
কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি কে হচ্ছেন, এ নিয়ে আগামী ১০ দিন দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করতে চলেছেন বতর্মান সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। দলের নীতি নির্ধারণ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই ভেতর-বাইরে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন নেতা-কর্মীরা। কংগ্রেসের ‘ক্ষুব্ধ’ নেতারা দলের সব পদে নির্বাচনের দাবি জানালেও আপাতত শুধু দলের সভাপতি পদেই নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেত্রী সোনিয়া গান্ধী দলের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক শুরু করছেন। সম্প্রতি গোলাম নবী আজাদ, আনন্দ শর্মা, শশী থারুরের মতো ২৩ প্রভাবশালী নেতা সভানেত্রী সোনিয়াকে এক চিঠিতে দলের হালচাল নিয়ে চরম ক্ষোভ জানান। এরপরই আলোচনার ডাক দেন সোনিয়া।
শনিবারের প্রথম বৈঠকে মনমোহন সিংহ, এ কে অ্যান্টনি, অশোক গহলৌত, কমল নাথ, পি চিদাম্বরমসহ বেশ কজনের পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ নেতাদেরও বৈঠকে ডাকা হয়েছে। কংগ্রেসের এমন পরিস্থিতিতে বৈঠকে জ্যেষ্ঠ নেতা রাহুল গান্ধীও উপস্থিত থাকছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আগামী বছরের মাঝামাঝিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কিছু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের নির্বাচনী রণকৌশলের পাশাপাশি বৈঠক থেকে সভাপতি পদে নির্বাচন এবং সাংগঠনিক রদবদলের প্রসঙ্গও আসতে যাচ্ছে।
গেল শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) গান্ধী পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ নেতা বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্ধারণ হবে। এমনকি সোনিয়াকে লেখা চিঠিতেই ২৩ বিক্ষুব্ধ নেতার অন্যতম দাবি এমনই ছিল বলেও জানান তিনি।
কে হচ্ছেন ভঙ্গুর কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি এ নিয়ে চলছে গুঞ্জন। কংগ্রেসের অন্দরমহলে এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন, রাহুল ফের সভাপতি পদে রাজি হবেন কি না।
সিনিয়র নেতাদের মতে, রাহুল নিজে না হলেও গান্ধী পরিবারের অশোক বা মুকুল ওয়াসনিকের মতো কাউকে সভাপতি পদে নিয়ে আসতে চাইবে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে দলের অন্যরা ঝামেলা পাকাতে পারে বলেও শঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
তবে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলছেন, ‘কংগ্রেসের একনিষ্ঠ সদস্যরাই ঠিক করবেন, কে সভাপতি পদে যোগ্য। আমার মতো, কংগ্রেসের ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ সদস্যই চান, রাহুল গান্ধী সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিক।’
বিক্ষুব্ধ নেতাদের মূল অভিযোগ ছিল, রাহুল নিজের আস্থাভাজন ছাড়া বাকিদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি সামনে থেকে দলের দায়িত্ব নিতে নারাজ। কিন্তু পেছন থেকে রাহুলই মা সোনিয়া গান্ধীকে নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে ক্ষোভ নেতা-কর্মীদের। আবার মাঠেও তেমন সক্রিয় নন রাহুল। সব মিলিয়ে জনসাধারণের কাছ থেকে তিনি নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে রেখেছেন এমনটাই দাবি কংগ্রেসের ক্ষুব্ধ শীর্ষ নেতাদের।
কংগ্রেসের গৃহ কোন্দলে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি রাহুল এবং বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর।
19 Disem 2020 , 12:24 Pm
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের তালেবান প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ হয়েছে। প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক এ সাক্ষাতে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করার উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, তালেবানের রাজনীতি বিষয়ক উপ-প্রধান মোল্লা আব্দুলগনি বারাদারের সভাপতিত্বে এই গোষ্ঠীর একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার ইসলামাবাদে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই দফতর দাবি করেছে, আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার কাজে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে তালেবান প্রতিনিধিদলের পাকিস্তান সফরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবারের বৈঠকে আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সরকার ও তালেবান উভয়কে সহিংসতা পরিহার করতে হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আফগান শান্তি প্রক্রিয়াকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কোনও কোও মহল আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক তা চায় না এবং এসব মহলের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আফগানিস্তানের তালেবান প্রতিনিধিদল এই নিয়ে তিনবার আনুষ্ঠানিক সফরে পাকিস্তানে গেলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম তাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করলেন। মোল্লা বারাদারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিলটি গত বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
18 Disem 2020, 05:05 Pm
রাশিয়া বলেছে, গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইরানের পরমাণু সমঝোতাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে তা পুরোপুরি বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ভিয়েনায় জাতিসংঘের দফতরগুলোতে নিযুক্ত রুশ স্থায়ী প্রতিনিধি মিখাইল উলিয়ানোভ রাশিয়ার নিউজ চ্যানেল ‘রাশা২৪’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ভিয়েনায় বুধবার পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক ১৭তম যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই অনলাইন বৈঠকে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে যা আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবারের বৈঠকটি রুদ্ধদ্বার ছিল জানিয়ে উলিয়ানোভ বলেন, এ বৈঠকে রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইরান পরমাণু সমঝোতাকে আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
রাশিয়ার এই কূটনীতিক বলেন, ইরান বহুবার বলে এসেছে, ইউরোপীয়রা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এবং পরমাণু সমঝোতা থেকে তেহরান তার অর্থনৈতিক স্বার্থ অর্জন করতে না পারায় দেশটি এই সমঝোতার ধারাগুলোর বাস্তবায়ন স্থগিত রেখেছে।
তিনি বলেন, সব পক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন আগের মতো শুরু করলে ইরানের পরমাণু সমঝোতা পূর্ণ মাত্রায় বাস্তবায়িত হবে।
15 Disem 2020 , 06:13 Pm
জনতাত্ত্বিক গণহত্যা চলছে চীনে। ডেমোগ্রাফিকাল জেনাসাইড। উইঘুর-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠিকে শেষ করতে মরিয়া শি জিনপেং-এর কমিউনিস্ট সরকার। চীন অবশ্য বিশ্বের সামনে নিজেদের ভাবমূর্তি অর্থের বিনিময়ে উজ্জল রাখতে সচেষ্ট।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) শি-র নেতৃত্বে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছেন। সন্তান ধারণের অধিকার থেকে শুরু করে নাগরিকদের ব্যক্তি জীবনেও হস্তক্ষেপ করছে প্রশাসন। সামাজিক সংস্থাগুলির অস্তীত্বকে করা হয়েছে শুধুমাত্র সরকার মুখী। সন্তান ধারনের মতো মৌলিক অধিকারও কেড়ে নিচ্ছে সিসিপি।
চীনের এই দানবিক কাজকর্মের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারীরা। তাঁদের মাতৃত্ব আজ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে। জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম নারীদের মধ্যে চীন তাদের পরিবার পরিকল্পনা নীতিকে কঠোর ভাবে রূপায়ণ করতে গিয়ে লুণ্ঠন করছে মানবাধিকারকে। নারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হচ্ছে। উইঘুর নারীদের বন্ধ্যাত্বকরণেও বাধ্য করছে সিসিপি। গোপনে তাদের মাতৃত্বের অধিকারও ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। উইঘুরদের সংখ্যা কমিয়ে আনতেই সিসিপি এধরনের বর্বরোচিত কাজকর্ম করে চেলেছে। তারা চাইছে উইঘুরদের ভবিষ্যতকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তুলতে। উত্তরসূরীও যাতে রেখে যেতে না পারেন চীনে বসবাসকারী উইঘুররা তারই জন্য সচেষ্ট সিসিপি।
প্রযুক্তির ব্যবহার করে নারীদের সন্তান গর্ভধারনের অধিকারও আজ বিপন্ন করে তোলা হচ্ছে। শুধু উইঘুরদেরই নয়, কাজাখ ও তিব্বেতিয়ানদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলেও সিসিপি মোটেই বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ। অবাধে চলছে জনতাত্ত্বিক গণহত্যা।
সংখ্যালঘু নারীদের ওপর চলছে গণ বন্ধ্যাত্বকরণ। বন্ধ্যাত্বকরণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ডিভাইস। উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে ৮০ শতাংশই এই বন্ধ্যাত্বকরণের শিকার। এছাড়াও উইঘুর নারীদের বাধ্য করা হচ্ছে অন্য সম্প্রদায়ের পুরুষকে বিয়ে করতে। কারণ তাতে করে বাড়বে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ। কমবে মুসলিম জনসংখ্যা। ভ্রুণ অবস্থাতেই উইঘুরদের অস্তীত্বকে বিপন্ন করে তুলতে মরিয়া চীন।
এর জন্য জিনজিয়াঙের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নামে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হলে কী হবে, আসলে এগুলি সবই জেলের থেকেও খারাপ। সেখানে নরকযন্ত্রনা ভোগ করছে নারীদের। চীনের এই অন্তঃকরণ শিবির গুলিতে নারীদের বাধ্যতামূলকভাবে করা হচ্ছে বন্ধা। লুকিয়ে থাকার কোনও উপায় নেই। চীনা পুলিশ তাঁদের ধরে এনে ভরছে এই অঘোষিত জেলে। সেখানেই কেড়ে নেওয়া হচ্ছে তাঁদের মাতৃত্বের অধিকার। যন্ত্রের সাহায্যে নারীত্ব হরণের পাশাপাশি রয়েছে গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ারও নির্দেশ। নির্দেশ অমান্য করার কোনও উপায় নেই। বরং হাসিমুখেই মানতে হচ্ছে সরকারি নির্দেশ। নইলে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা জঙ্গি তকমা লাগিয়ে শুরু হবে বিচারের নামে প্রহসন এবং আরও কঠোর শাস্তি।
সম্প্রতি চীন উইঘুর নারীদের বিয়ে করার জন্য হ্যান চীনাদের আকর্ষিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। তাদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে উইঘুর মুসলিমদের বিয়ে করার জন্য। এটাও এক ধরনের গণহত্যা। শি সরকার সরাসরি হ্যান যুবকদের বলছে, ‘আসো। মেশো। সংসার করো।’ সরকারি উদ্যোগে গণ ধর্ষণের বন্দোবস্ত করারই নামান্তর চীন সরকারের এই উদ্যোগ। স্বামীদের জোড় করে শ্রম শিবিরে পাঠিয়ে নারীদের ভোগ্যপণ্য করে তোলা হচ্ছে। যৌণ পণ্যে পরিণত করা হয়েছে মুসলিম নারীদের। বাধ্য করা হচ্ছে হ্যান যুবকদের বিয়ে করতে বা বিয়ের নামে বাদ্য করা হচ্ছে হ্যান যুবকের ভোগদাসী হয়ে উঠতে। হ্যান যুবকরা উইঘুর নারীদের ভোগ করার বিনিময়ে বোনাস হিসাবে পাচ্ছে সরকারি চাকরি বা আর্থিক সহায়তা।
উইঘুরদের মতোই চীনের ভয়ঙ্কর অত্যাচারের শিকার তিব্বতীয়রাও। তিব্বতে চীন যেধরনের অত্যাচার চালাচ্ছে তার থেকেই বোঝা যায় দেশের ভিতরে তিব্বতিরা কতোটা অত্যাচারের মধ্যে রয়েছেন। সিসিপি তিব্বতীয় নারীদেরও গর্ভ নিয়ন্ত্রণ করছে। পুলিশ দিয়ে গর্ভপাত করাটা চীনে এখন জলভাত হয়ে গিয়েছে। মেয়েদের ঋতুচক্রে পর্যন্ত আঘাত হানছে চীন। তিব্বতীরাও গণহত্যার শিকার। সরকারই যৌণ ব্যবসাকে প্রসারিত করতে চাইছে। আবার নারীদের চাকরির ক্ষেত্রে কুমারিত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে। তিব্বতী নারীদেরকেও অসম্মান করে চলেছে সিসিপি। তিব্বতীদের মানসিক বিকাশই নাকি হয়নি। তাঁরা যদি নিজেদের রাজনৈতিক মতামত ব্যক্ত করেন বা কোনও প্রতিবাদে অংশ নেন, তবে বলা হয় তাঁরা নাকি মানসিক প্রতিবন্দ্বী। এরপর চলে যথেচ্ছ অত্যাচার, যৌণ নির্যাতন। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে উঠেছে নিত্যদিনের বিষয়।
চীনের এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি বরদাস্ত করাটাও অন্যায়। নারীদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও কেড়ে নিচ্ছে তাঁরা। ইসলাম ধর্মের প্রসার রোধে হত্যা করা হচ্ছে ভ্রুণ। গর্ভ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে পুলিশ-মিলিটারি দিয়ে। নারীর সমানাধিকার নিয়ে গোটা দুনিয়া যেখানে সরব, চীন তার উল্টো পথে চলছে।
13 Disem 2020, 10:26 Am
আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পপন্থিদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বিরোধী গ্রুপের। শনিবার রাতে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি থেকে এই সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
তবে পুলিশ সেখানে দ্রুততার সঙ্গে হস্তক্ষেপ করে। উভয়পক্ষের ওপর পিপার-স্প্রে প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর এবিসি, সিএনএন, এনবিসি ও রয়টার্সের। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে কোনও প্রমাণ ছাড়াই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসহ তার সমর্থকরা দাবি করে আসছেন, ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। ভোট চুরি করা হয়েছে। এ নিয়ে আদালত, বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টে যখন মামলা খারিজ হয়ে যাচ্ছে, তখন ট্রাম্পন্থিরা শনিবার রাতে রাস্তায় নামে।
‘স্টপ দ্য স্টিল’ কর্মসূচির আয়োজকরা এবং চার্চ গ্রুপগুলো সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানায় এসব র্যালিতে অংশ নিতে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বা রাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পপন্থি ‘প্রাউড-বয়েজ’ বিক্ষোভকারী এবং প্রতিপক্ষ ‘এন্টিফা’র মধ্যে ওয়াশিংটন ডিসিতে হাতাহাতি শুরু হয়। ট্রাম্প হোটেলের কাছে এর আগে বিক্ষোভে অংশ নেয় অধিক উগ্রপন্থি প্রাইড-বয়েজের প্রায় ২০০ সদস্য। এ সময় তাদের বেশির ভাগই ছিলেন রণ সাজে। তাদের গায়ে ছিল কালো ও হলুদ শার্ট। বুকে ছিল ব্যালেস্টিক ভেস্ট পরা। মাথায় ছিল হেলমেট। ব্যবহার করেছে হ্যান্ড-সিগন্যাল। এসব করে থাকে সাধারণত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীরা। তারও আগে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে দাঙ্গা পুলিশ। তারা ছিল রায়ট গিয়ারে এবং বাইসাইকেলে। রাত নামার পর বিক্ষোভকারীরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে যায়। তারা সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষকে খুঁজতে থাকে।
13 Disem 2020, 10:05 Am
সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোর পর এবার এশিয়ার দেশ ভুটানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করল ইসরায়েল। খবর দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা ও জেরুজালেমপোস্টের।
শনিবার রাতে নয়া দিল্লিতে ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন মালকা ও ভুটানের রাষ্ট্রদূত ভেতসপ নামগায়েল এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সরকারি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং জেরুজালেম ও থিম্পুতে প্রতিনিধি পাঠানোর ব্যাপারে গত বছর গোপনে আলোচনা শুরু করে ইসরায়েল ও ভুটান।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন মালকা দুই দেশের এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকে ‘উত্তেজনাপূর্ণ … বিনয়ী, তবে অনেক বেশি বিশেষায়িত’ বলে মন্তব্য করেছেন।
গত আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত চারটি মুসলিম দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আব্রাহাম চুক্তির আলোকে এই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। তবে ভুটানের সঙ্গে এই সম্পর্ক স্থাপন আব্রাহাম চুক্তির আওতায় নয়।