19 Disem 2020, 12:41 Pm
প্রকৃতি শীতের আমেজ এসেছে। দেশজুড়ে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতের সকালে দেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কুয়াশা পড়ছে। এই সময় কাশি, সর্দি, নিঃশ্বাসে সমস্যা হওয়ার মতো একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
অন্যদিকে দূষণ, যার ফলে খুসখুসে কাশি খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাই গলা ঠিক রাখতে, এই সময় কাশি থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চলুন। আর এতেই আপনাকে খুসখুসে কাশি থেকে দিবে পরিত্রাণ। ১. ঠাণ্ডা লাগা থেকে মুক্তি দেয় মধু। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে যা গলায় জমা সর্দি দূর করতে সাহায্য করে। গলা খুসখুস করলে চায়ের সঙ্গে দু’চামচ মধু বা গরম পানি ও লেবুর সঙ্গে দু’চামচ মধু খেলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
২. লবণ পানিতে গার্গল ফুসফুসে মিউকাস নষ্ট করে, পাশাপাশি ন্যাসাল প্যাসেজ পরিষ্কার হয় নুন জলে গার্গল করলে। কাশি থাকলে এক কাপ ঈষৎ উষ্ণ পানিতে ১/৪ চা চামচ লবণ দিয়ে, তা দিয়ে গার্গল করলে খুব তাড়াতাড়ি উপশম মিলবে। বাচ্চার ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগ না করাই ভালো। বাচ্চারা গার্গল করতে গিয়ে লবণ-পানি খেয়ে ফেলে।
৩. ইউক্যালিপটাস ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েলও এ ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। তাড়াতাড়ি ফল পেতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে বুকে ও গলায় মালিশ করলে উপশম মিলতে পারে। ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েলের স্টিম নিলেও নাক ও গলা পরিষ্কার করে যায়।
৪. কাশতে কাশতে গলা ব্যথা হয়ে গেলে পুদিনা সেই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। দিনে ২-৩ বার পুদিনা দিয়ে বানানো চা খেলে কাশিও কমতে পারে, গলা ব্যথাও বা অস্বস্তিতেও উপশম মিলতে পারে।
৫. সর্দি হলে আদার রস খেলে তা খুব উপকার করে। আদা থেঁতো করে অনেকেই চায়ে দিয়ে দেন। সেই চা খেলেও কাশি কমে। তবে বেশি আদা খাওয়া ভালো না, কারণ এটি পেটের সমস্যা তৈরি করে ও হার্ট বার্নও করে। তাই সামান্য আদা দিয়ে দিনে একবার কয়েকদিন চা বা সরবত খেলে উপশম পাওয়া যেতে পারে।
সূত্র: নিউজ এইটিন
19 Disem 2020, 12:32Pm
আমলকী। ঔষধি গুণে ভরপুর একটি ফল। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এই ফলের নানাবিধ ব্যবহার চোখে পড়বে। চুলের বৃদ্ধি, রুক্ষতা কমানো, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, পেটের সমস্যা দূর করতে, শরীরে সতেজ ভাব ফিরিয়ে আনতে আমলকীর জুড়ি নেই।
শীতকালে অনেকেরই সর্দি-কাশির প্রবণতা বাড়ে। এ সময় আমলকী খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও শীতের সময় আমলকী খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় :
আমলকীতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় বিপাকের হার বাড়াতে সাহায্য করে। ভাইরাল এবং ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণের জন্য সর্দি কাশির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে এসব উপাদান। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে :
প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম থাকায় আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ কারণে নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি দিনের খাদ্যতালিকায় এই ফলটি রাখতে পারেন।
ভিটামিন সি-তে ভরপুর :
কমলার চেয়ে আট গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে আমলকীতে। এছাড়া বেদানার চেয়ে ১৭ গুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পাওয়া যায় এই ফলে। এক গ্লাস পানিতে দু চামচ আমলকী পাউডার, দু’চামচ মধু দিয়ে খেলে সর্দি-কাশিতে আরাম পাওয়া যায়। যারা শীতে এই সমস্যায় বেশি ভোগেন তারা দিনে তিন-চারবার এই মিশ্রণটি খেতে পারেন।
চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য মজবুত রাখে :
অসময়ে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে সহায়তা করে আমলকী। এছাড়া চুলের গোড়া মজবুত করতে, খুশকি দূর করতে এবং ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া কমাতেও সাহায্য করে আমলকী।
হজম শক্তি বাড়ায় :
আমলকী বিপাকে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বদ হজম এবং অ্যাসিডিটিতেও খুব কাজে দেয় এই ফলটি।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
13 Disem 2020, 10:18 Am
ডিম এমন একটি খাদ্য যা সুস্বাদু তো বটেই, একই সঙ্গে স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুব কার্যকর। ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও ডিমের সাদা অংশ ভিটামিন বি সমৃদ্ধ এবং কোলেস্টেরল মুক্ত। ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।
দুর্বল হাড়ের পক্ষে উপকারী- ডিমের সাদা অংশ ক্যালসিয়ামে ভরপুর। এটি আপনার হাড়কে শক্তিশালী ও মজবুত করতে সহায়তা করে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে আপনি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এছাড়াও অস্টিওপোরোসিস, রিকেটস ও হাড়ের নানান গুরুতর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ডিমের এই সাদা অংশ।
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে-
রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যার জন্য ডিমের সাদা অংশ খুব উপকারী। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে, যা আপনার রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে পটাসিয়াম থাকে যা হৃৎযন্ত্রের সমস্যাগুলি থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় উপকারী-
রক্তচাপ বেশি থাকলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা আপনার রক্তচাপের স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ক্লান্তি কাটাতে সহায়ক ডিম-
ডিমের সাদা অংশ খেলে দেহে আয়রনের ঘাটতি দূর হয়। যদি আপনি মাথা ঘোরা বা ক্লান্ত বোধ করার মতো সমস্যায় ভোগেন তবে দিনে একটি করে ডিম খান। ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ এই খাদ্য আপনার শরীর থেকে ক্লান্তি দূর করবে।
পেশীর জন্য উপকারী-
ডিমের সাদা অংশকে প্রোটিনের ‘পাওয়ার হাউস’ বলা হয়ে থাকে। ফলে মজবুত পেশী গঠনে সহায়ক ডিম। পেশী শক্ত রাখতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিমের সাদা অংশ রাখতে পারেন।
14 november 2020 4:06 pm
কৃমির কারণে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু শিশু তা বলতে ও বোঝাতে পারে না। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের বুঝতে হবে শিশু কৃমিতে আক্রান্ত কি না।
কৃমি এক ধরনের পরজীবী, যা ক্ষুদ্রান্ত্রে থাকে এবং সেখান থেকে খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। এ দেশে সাধারণত টেপ ওয়ার্ম, রাউন্ড ওয়ার্ম, হুক ওয়ার্ম ও পিন ওয়ার্ম বা থ্রেড ওয়ার্ম থেকে ইনফেকশন হয়।কৃমিতে আক্রান্ত্র হওয়ার লক্ষণ
বমিভাব ও বমি
খিদে না পাওয়া অথবা বারবার খেয়েও খিদে পাওয়া
ওজন কমা
জন্ডিস
পায়ুছিদ্রের কাছে চুলকানির সৃষ্টি করে। ফলে বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না
প্রস্রাবে জ্বালা ও যন্ত্রণা হতে পারে।
কীভাবে কচি দেহে ঢোকে কৃমি?
কৃমি ও তার ডিমগুলো বাইরের পরিবেশে দুইসপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। বাচ্চারা যখন মাঠে খেলে তখন তাদের হাতের মাধ্যমে শরীরে ঢোকে।
পায়ুছিদ্রের চুলকানির ফলে শিশুর হাতে, নখে কৃমির ডিম লেগে তা পুনরায় শরীরে প্রবেশ করে। যিনি বাচ্চাকে খাওয়ান তার হাত থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। শাকসবজি, ফল ঠিকমতো না ধুয়ে খেলে তা থেকেও কৃমি হতে পারে।
শিশু কৃমিতে আক্রান্ত হলে অবশ্যই কোনও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ও বাচ্চার লক্ষণ অনুযায়ী সঠিক ডোজের ওষুধ খাওয়ানো উচিত।
৯ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:২৪
শীতকালে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করুন ফল। এই মৌসুমে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে জাম্বুরা, কলা, আপেল, আঙ্গুরসহ নানা রকমের বাহারি ফল। পুষ্টিগুণে ভরা এসব ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং আপনাকে করে তোলে আরও সুন্দর।
শীতকালের এ ফলগুলো খাবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি শুষ্ক ত্বকে জৌলুস ফিরিয়ে আনবে। এসব ফলের কোনটা ত্বকের যত্নে কার্যকরী কোনটা আবার চোখের দ্যুতি বাড়াতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ৫টি ফলের মাধ্যমে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার রহস্য-
জাম্বুরা
জাম্বুরাতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। জাম্বুরা শীত মৌসুমে শুষ্ক ত্বক কোমল করে। ২০০৮ সালে ইউরোপীয় ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বায়োফার্মাসিটিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, জাম্বুরা বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফল। এ ফলে লাইকোপিনি (lycopene) রয়েছে, যা ২০ জন চর্ম রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হয়। এতে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে।
পেঁপে
পাকা পেঁপেতে ভিটামিন ‘ই’ ও ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। পেঁপেতে প্রচুর জলীয় অংশ থাকায় এটি ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য ভিটামিন ও খণিজ পদার্থের উৎস পেঁপে। অক্সফলিয়েটিং ত্বকের মৃত কোষ সারিয়ে তুলে ত্বককে রাখে দাগ ও বলিরেখা মুক্ত। নিজেকে রোগ মুক্ত ও সুন্দর রাখার জন্য প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পেঁপে রাখা জরুরি।
ডালিম
ডালিমের রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে আপনার ত্বকে পুষ্টি যোগায়। ডালিমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। ডালিম রক্তে অক্সিজেন পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটির মাইক্রো পুষ্টি আপনার ত্বকে অকাল ভাঁজ ও দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে।
আনারস
এ ফলে ভিটামিন সি রয়েছে, যা আপনার ত্বকের সমস্যাসহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। আনারসে উপস্থিত Bromeliad নামক এনজাইম আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী, যা কিনা ত্বকের মৃত কোষ, বলিরেখা, ত্বকের উপরিভাগের ময়লা ও সানবার্নের মতো দাগ তুলতে সাহায্য করে ও ত্বক সফট করে। দিনে একবার আপনার মুখের ওপর আনারসের রস লাগান। এতে আপনার শুষ্ক ত্বক কোমল হবে।
কলা
কলায় রয়েছে উচ্চ পটাশিয়াম ও ভিটামিন ‘এ’ যা আপনার ত্বক কোমল করে। বিশেষ করে শীতকালে শুষ্ক ত্বকে কলা একটি ভাল প্রবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। পরিপাকে ক্রিয়া বৃদ্ধি ও শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে।
মুক্তিরআলোটুয়েন্টফোর.কম / রেজা
২ নভেম্বর, ২০২০ ১১:১৫
বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট্ট থলির মতো অঙ্গটিকে অ্যাপেন্ডিক্স বলা হয়। লম্বায় এটি ২ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। থাকে তলপেটের ডান দিকে। এর সঠিক কাজ যে কী, তা এখনো অস্পষ্ট। তাই এটিকে অকেজো অঙ্গ বলা হয়। কিন্তু এই ছোট্ট থলেতে আকস্মিক প্রদাহ হলে দেখা দেয় অসহনীয় ব্যথা।
অ্যাপেন্ডিক্সের এই সমস্যাটি অ্যাপেনডিসাইটিস নামে পরিচিত। যথা সময়ে অস্ত্রোপচার না করালে বা সময় মতো সমস্যা ধরা না পড়লে অ্যাপেনডিসাইটিসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই অঙ্গটি। সেজন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ‘সার্জিক্যাল এমার্জেন্সি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তাই অ্যাপেনডিসাইটিসের সমস্যা কখনও অবহেলা করা উচিত নয়।
অ্যাপেনডিসাইটিস কীভাবে এবং কেন হয়?
কোনও কারণে অ্যাপেন্ডিক্সে খাদ্যকণা বা ময়লা ঢুকে গেলে সেখানে রক্ত আর পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। শুধু তাই নয় সেখানে নানা রকম জীবাণুর আক্রমণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অ্যাপেনডিক্সে ব্যথা হতে শুরু করে।
অ্যাপেনডিসাইটিসের উপসর্গ ও লক্ষণসমূহ:
১. পেটে ব্যথা হয়। সাধারণত, নাভির কাছ থেকে শুরু হয়ে পেটের ডান দিকের নিচের দিকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে,
২. ক্ষুধামন্দা বা খিদে না পাওয়া,
৩. বমি বমি ভাব,
৪. বমি হওয়া,
৫. ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যাওয়া,
৬. জ্বর জ্বর ভাব। তবে এ ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি হয় না,
৭. অ্যাপেন্ডিক্স কোনও কারণে ফেটে গেলে সারা পেট জুড়ে মারাত্মক ব্যথা অনুভূত হয় এবং পেট ফুলে ওঠে।
চিকিৎসা কী
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা হলো আক্রান্ত অংশ বা অ্যাপেন্ডিক্স যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলে দেওয়া। অস্ত্রোপচারের ভয়ে অনেকে হাসপাতালে যেতে চান না। অনেক সময় শিশু বা বেশি বয়স্করা ব্যথার সঠিক বর্ণনাও দিতে পারে না। কিন্তু জটিলতা এড়াতে পেটে ব্যথা তীব্র ও স্থায়ী অথবা থেকে থেকে হলে রোগীকে শক্ত খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন বা মুখে খাবার দেওয়া বন্ধ রাখুন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
মনে রাখতে হবে অ্যাপেন্ডিক্স কোনও কারণে ফেটে গেলে রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই অ্যাপেনডিসাইটিসের উপসর্গগুলো চিনে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি।
মুক্তিরআলোটুয়েন্টফোর.কম / রেজা