অদ্য ১৬/২/২০২১ তারিখে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের মাহমুদ পুর পল্লী সমাজে বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে এবং বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ও জরুরী প্রয়োজনে বিভিন্ন হটলাইন নং সম্পর্কে অবগত করে।
18 Disem 2020, 04:35 Pm
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (প্রফেশনাল) ভর্তি কার্যক্রমে বিএড, বিএমএড, বিএসএড, বিপিএড, এমএড, এমএসএড ও এমপিএড কোর্সের মেধা তালিকা ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় প্রকাশ করা হবে।
উক্ত ফলাফল এসএমএসের মাধ্যমে nu<space>atmp<space>roll নম্বর টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে জানা যাবে। একই দিন ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট www.nu.ac.bd/admissions-এ রাত ৯টা থেকে পাওয়া যাবে। বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে এই ভর্তি কার্যক্রমের অনলাইন ক্লাস ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্য কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে বর্তমানে অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থী ২০২১ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (প্রফেশনাল) প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবে না। অর্থাৎ দ্বৈত ভর্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
15 Disem 2020 , 05:52 Pm
সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এই আবেদন করা যাচ্ছে। এ আবেদন আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবেদন চলবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, (https://gsa.teletalk.com.bd) এই ঠিকানায় গিয়ে আবেদন করা যাচ্ছে। আবেদন গ্রহণ শেষে ৩০ ডিসেম্বর অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ভর্তির আবেদনের নিয়মাবলি মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে এবার বিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন লাটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির কথা আগেই জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আবেদনে কয়টি বিদ্যালয় নির্বাচন করা যাবে?
মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ফিডার শাখাসহ তিনটি গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। আর সারাদেশের শিক্ষার্থীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। তখন প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে পছন্দক্রম অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে।
আবেদন নেওয়ার পর অনলাইনের মাধ্যমে লটারি একজন শিক্ষার্থীকে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করে দেওয়া হবে। এতদিন একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপের একটি বিদ্যালয়কে বেছে নেওয়ার সুযোগ পেত।
আবেদন ফি কত?
ভর্তির আবেদন করতে ১১০ টাকা ফি টেলিটকের প্রি-পেইড মোবাইল থেকে এসএমএস করে পরিশোধ করতে হবে।
13 Disem 2020, 09:49 Pm
এবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরাসরি পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাস নেয়ার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ ৭ শর্ত দেয়া হয়েছে। তবে সরাসরি ক্লাস অনলাইনেই হবে। এর আগে ২ নভেম্বর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাসের অনুমতি দেয়া হয়।
রোববার সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে
ইউজিসি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এটি সঞ্চালনা করেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এতে সংস্থার সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. আবু তাহের, সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক কামাল হোসেন যুক্ত ছিলেন। সভায় সম্প্রতি বিজ্ঞাপিত বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের সময় বৃদ্ধির জন্য সরকারি কর্মকমিশনকে (পিএসসি) চিঠি দিতে ইউজিসিকে অনুরোধ করেন ভিসিরা। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, পরীক্ষা নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিনস কমিটি, একাডেমিক কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্ট কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পরীক্ষার মান নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাড়াহুড়া না করে সক্ষমতা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় কয়েকজন ভিসি জানান, অনলাইনে পাঠদান অব্যাহত আছে। অসমাপ্ত সেমিস্টার শেষ পর্যায়ে। পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা নিজেদের পরবর্তী সেমিস্টারের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে আলাদা করে নিচ্ছে। পরীক্ষা না হলে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়বে। জাতীয় স্বার্থে পরীক্ষা নেয়া দরকার।
এতে ইউজিসির অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) করোনার সময়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টারের চ‚ড়ান্ত পরীক্ষা এবং ব্যবহারিক ক্লাস ও মূল্যায়ন বিষয়ে ৭টি সুপারিশ তুলে ধরেন।
এগুলো হচ্ছে- স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত থাকতে হবে।
মহামারী কোভিড-১৯ সংকটের কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বা হচ্ছে তা থেকে উত্তরণের জন্য এ সিদ্ধান্ত। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কৃষি, চিকিৎসাসহ অন্যান্য শাখার অসমাপ্ত ব্যবহারিক ক্লাস এবং তার মূল্যায়ন স্বাস্থ্য বিধি মেনে পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করতে হবে। সেমিস্টার পরীক্ষা, ব্যবহারিক ক্লাস ও মূল্যায়ন সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সর্বশেষ সেমিস্টারের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নির্দেশনায় বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাস পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাস শুরুর ১ ঘণ্টা আগে ক্যাম্পাসে প্রবেশ এবং শেষ হওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে।
কোভিড-১৯ সংকটের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে চলমান শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন ও অনুসরণ করতে হবে।
13 Disem 2020, 11:58 Am
পরীক্ষার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খোলার আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট।
সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত না করে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তকে একপাক্ষিক, শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিপ্রতীপ ও বিদ্যমান বাস্তবতায় অনুপযুক্ত সমাধান বলে দাবি করে ঢাবি ছাত্রলীগ।
শনিবার রাতে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত না করেই স্নাতক সমাপনী বর্ষ ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেছে। সেশনজট নিরসন এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের প্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জরুরি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য হলে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ একপাক্ষিক, শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিপ্রতীপ, বিদ্যমান বাস্তবতায় অনুপযুক্ত সমাধান এবং কোনও অবস্থাতেই অভিভাবকসুলভ নয়। বিশেষ করে ছাত্রী ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি স্পষ্টতই অনভিপ্রেত এবং করোনাকালীন বাস্তবতায় আর্থিক সক্ষমতার বাইরে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই প্রস্তাবনায় শিক্ষার্থীদের মতামত প্রতিফলিত হয়নি দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত হয়নি এবং হলে থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই সংকট-প্রতিবন্ধকতা থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির ঐতিহ্যিক ধারায় দায়বদ্ধ। আমরা মনে করি, পরীক্ষার্থীদের জন্য হল উন্মুক্ত করে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে, সঠিক রূপকল্প ও বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষা গ্রহণ করা বাস্তবসম্মত, ন্যায়ানুগ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মর্যাদার জন্য উত্তম সমাধান ।
বিজ্ঞপ্তিতে অনতিবিলম্বে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ-প্রত্যাশা-অধিকারের আলোকে হল খুলে দিয়ে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে পরীক্ষা গ্রহণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে নিরন্তর সংগ্রাম, তাতে অরুণ প্রাতের তরুণ দল শিক্ষার্থী বন্ধুদের সুশিক্ষা ও সুকর্মসংস্থানের উপযোগী করে প্রস্তুত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সর্বদা নেতৃত্বদানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
11 Disem 2020, 4:51 pm
মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। আবেদন গ্রহণ চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৩০ ডিসেম্বর সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে, সে দিন বিকেলে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাউশির উপপরিচালক এনামুল হক জানিয়েছেন, ঢাকার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভর্তি নীতিমালা অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি আরো বলেন, আগের মতো আর স্কুলে বড় আয়োজনের মাধ্যমে লটারি অনুষ্ঠিত হবে না। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে। টেলিটক মোবাইল কোম্পানির সহায়তায় এটি পরিচালিত হবে।