18 Disem 2020, 05:14 Pm
বরাবরের মতো আবারও গতকাল তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেনের সঙ্গে দেখা করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকার একটি টিম। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করার পর তারা ঢাকায় ফিরে যান। এদিকে তনু হত্যা মামলার দীর্ঘ এ সময়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে তনুর মা-বাবাসহ পুরো পরিবার।
বিচার পাওয়ার আশা অনেকটা ছেড়ে দিয়েছেন তারা। আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘বারবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল ছাড়া আর কোনো আশার কথা শুনিনি। অসুস্থ হওয়াতে ক্যান্টনমেন্ট যেতে পারিনি। ভেবেছি তারা (পুলিশ) গ্রামে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলবে, কিন্তু তারা আসার সময় পায়নি। আর কতদিন মেয়ের খুনের বিচারের জন্য কাঁদব?’ প্রসঙ্গত, মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর গত ১৫ নভেম্বর তনুর বাবা ইয়ার হোসেনকে নিয়ে হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার স্থল, তনুদের পুরনো বাসভবন, সার্জেন্ট জাহিদের বাড়ি পরিদর্শন করেছি পিবিআইয়ের টিম। এবার শুধু তনুর বাবার অফিস কক্ষ পরিদর্শন করে ঢাকায় ফিরে যায় মামলার তদন্তকারী দল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকান্ডের ৫৭ মাস পূর্ণ হচ্ছে ২০ ডিসেম্বর। হত্যাকান্ডের প্রায় পাঁচ বছরে চারবার মামলার তদন্ত সংস্থা ও পাঁচবার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়। প্রথম চারবার কুমিল্লা জেলা পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা মামলার তদন্ত করলেও সর্বশেষ পিবিআইয়ের ঢাকার একটি টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মজিবুর রহমান।
এর আগে মামলা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন সিআইডি কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহমেদ।
15 Disem 2020, 06:00 Pm
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দণ্ডিত চার খুনির মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাওয়া রাষ্ট্রীয় খেতাব স্থগিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিবকে বলা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ওই চার খুনি হলেন, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নুর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন ওরফে মুসলেম উদ্দিন ওরফে হিরন খান ওরফে মুসলেম উদ্দিন খান।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান।
13 Disem 2020, 10:58 Am
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আজ আদালতে জমা দিতে পারে মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব। রোববার যেকোন সময়ে কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে জমা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি।
অপরদিকে, একইদিনে মেজর সিনহা হত্যা মামলাটি অবৈধ দাবি করে বাতিল চেয়ে প্রধান আসামি পুলিশের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর আইনজীবীর দায়ের করা মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির নির্ধারিত দিন আজ।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে আজ রোববার মেজর সিনহা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দিব। এজন্য র্যাবের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
একই কথা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম। তিনি জানান, ‘আজ মেজর সিনহা হত্যা মামলার চার্জশিট যেকোন সময় আদালতে জমা হতে পারে।’
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে টেকনাফ শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ।
এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদি হয়ে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামী করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র্যাবকে। এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ স্বাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের ( এপিবিএন ) ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। এছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেফতার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও।
মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১৪জন আসামিকে র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় তার বোনের দায়ের মামলাটি বে-আইনি ও অবৈধ ঘোষণা চেয়ে গত ৪ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রধান আসামি লিয়াকতের আইনজীবী মাসুদ সালাহ উদ্দিন একটি রিভিউ আবেদন করেন। ওই দিন আদালত মামলাটির আমলে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য্য করেন। কিন্তু শুনানির দিনে সিনহা হত্যার মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস অসুস্থাতার কারণে আদালতে উপস্থিত থাকতে না পারায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেন ১০ নভেম্বর।
অন্যদিকে মামলাটি শুনানির ওই নির্ধারিত দিনে ( ১০ নভেম্বর ) সিনহা হত্যার মামলাটি বে-আইনি ও অবৈধ ঘোষণা চেয়ে আবেদনকারি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাহ উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন আবারো পিছিয়ে আদালত মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য্য করেন।
১০ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:০৬ ঢাকা প্রতিনিধি
রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম (জি কে শামীম) ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। গত ৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ৫ অক্টোবর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি বিচারের জন্য এ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
শামীমের সাত দেহরক্ষী হলেন, দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে আসছিলেন। বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন।
একইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করে
মুক্তিরআলোটুয়েন্টফোর.কম / রেজা
১ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:২২ ঢাকা প্রতিনিধি
বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় তিন আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন পায়েলকে যে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয় হানিফ পরিবহনের সেই বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেন। গত ৪ অক্টোবর এই মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ মামলার জামিনে থাকা তিন আসামি আদালতে উপস্থিত হন। পরে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর বিচারক রায়ের জন্য ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
২০১৮ সালের ২১ জুলাই দিবাগত রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিন শান্তর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন পায়েল। দুইদিন পর ২৩ জুলাই মুন্সীগঞ্জের ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই পায়েলের মামা গোলাম সরোয়ার্দী বিপ্লব বাদী হয়ে হানিফ পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মুক্তিরআলোটুয়েন্টফোর.কম / রেজা
১ নভেম্বর, ২০২০ ১৫:১৬ ঢাকা প্রতিনিধি
ম্যারিটাল রেপ অর্থাৎ বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রবিবার বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সিনিয়র নিউজরুম এডিটর ওয়াহিদা আফসানার পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাহিদ চৌধুরী জনি এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আইনজীবী জানান, বাংলাদেশের প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এবং দণ্ডবিধির কোথাও বৈবাহিক জীবনে স্বামী কর্তৃক ধর্ষিত হলে কোনো আইনি পদক্ষেপ নারীরা নিতে পারেন না।
এছাড়াও সামাজিক বিবেচনায় ওই নারী কখনো বিষয়টি নিয়ে জনসম্মুখে আসতেও পারেন না। অথচ গবেষণায় এসেছে, এবছর ৬৪ জেলার মধ্যে ২৭ জেলাতেই বৈবাহিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
মুক্তিরআলোটুয়েন্টফোর.কম / রেজা