18 Disem 2020, 04:29 Pm
পুলিশ সদর দপ্তরের গোপনীয় শাখার পরিদর্শক মিজানের পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন থানায় কর্মরত পুলিশের কাছ থেকে টাকা আদায় করে আসছে তিন প্রতারক। এমন অভিযোগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নওদাগ্রাম থেকে পুলিশের ভুয়া পরিদর্শকসহ তাদের আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, আল-আমিন (৪২), তার দুই সহযোগী নওদা গ্রামের দাদা শ্বশুর মো. ইসাহাক (৬০) ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম (৫৫)। তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত আল আমিন দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার ঈদগাঁও এলাকার আপেল মাহমুদের ছেলে। আলামিন পুলিশ সদর দপ্তরের গোপনীয় শাখার পুলিশ পরিদর্শক মিজানের পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নানা অভিযোগ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে আসছিল।
এছাড়াও পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সদর দপ্তরে অভিযোগ আছে বলে এমন অভিযোগ এনে তাদের চাকরিচ্যুত ও শাস্তির ভয় দেখাতো। বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরের নজরে এলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব জানান, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।’
15 Disem 2020, 05:49 Pm
সাতকানিয়ার রাস্তায় চট্টগ্রামগামী একটি ডাম্পার গাড়ী থেকে ১৩ হাজার ৫শ’ পিস ইয়াবাসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ব্যবহৃত গাড়ীটি জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী আসা একটি ডাম্পারের হাইড্রোলিক বক্স থেকে এই বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও বহনকারী ২ জনকে আটক করেন সাতকানিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃত রমজান আলীর ছেলে মোঃ রুবেল(২৬) ও একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ আফতাব (৩৪)।
সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে ডাম্পার যোগে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে ১৩ হাজার ৫শ’ পিস ইয়াবাসহ দুজন ও তাদের ব্যবহৃত গাড়ীটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে তাদেরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
১০ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:৩৪ ঢাকা প্রতিনিধি
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালের পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর নিউরো সাইন্স হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে ঘটনার দুইদিনের মাথায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হল।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের এডিসি মৃত্যুঞ্জয় দে সজল যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এএসপি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মামলায় সোমবার রাত ও মঙ্গলবার ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কথিত ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, ওয়ার্ডবয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম ও শেফ মো. মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ ফারুক মোল্লা। শুনানি শেষে প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে আদাবরের এই মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালে কর্মচারীদের পিটুনিতে এএসপি আনিসুল করিম নিহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, হাসপাতালের কর্মচারীদের এলোপাতাড়ি পিটুনিতে আনিসুল মারা গেছেন। তার মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত নয়, এটি হত্যাকাণ্ড।
আনিসুলের পরিবারও একই অভিযোগ করেছে। তারা জানিয়েছেন, ভর্তির পর পর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই তার বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি মামলা করে।
মুক্তিরআলোটুয়েন্টফোর.কম / রেজা
21 October 2020 11:20 pm
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারে সংঘটিত চার খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে দাবি করে সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, ‘নিহত শাহিনুরের ভাই রায়হানুলই পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে একাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে সাতক্ষীরাস্থ সিআইডির জেলা কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির খুলনাস্থ অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এজন্য তাকে আজ হাজির করা গেল না। জনাকীর্ন প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন- রায়হানুল তার ভাই শাহিনুর, ভাবী সাবিনা খাতুন এবং তাদের দুই শিশু সন্তান মাহি ও তাসনিম সুলতানাকে একাই ধারালো চাপাতি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে।
অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক আরও বলেন, এর আগে সে বাজার থেকে ঘুমের ওষুধ ডিসোপেন-২ ও এনার্জি ড্রিংক কিনে আনে। ১৪ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে সে তার দুই শিশু ভাতিজা-ভাতিজি এবং ভাবীকে ওষুধ মেশানো এই ড্রিংক খাওয়ায়। পরে রাত দেড়টার দিকে তার ভাই শাহিনুর মাছের ঘের থেকে বাড়ি ফিরলে তাকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায়।
রায়হানুলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, সে নিজ ঘরের ছাদের কার্নিশ বেয়ে উপরে উঠে খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে প্রথমে তার ভাই শাহিনুরকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে হাতের রগ কেটে পায়ে রশি বেঁধে দেয়। এরপরই সে পাশের কক্ষে ভাবী সাবিনাকে জবাই করে হত্যা করে। এসময় তার চিৎকারে শিশুরা জেগে গেলে সে তাদেরকেও একইভাবে জবাই করে।
সে সিআইডিকে জানিয়েছে, ‘তার ওপর শয়তান ভর করেছিল। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও শিশু দুটিকে হত্যা করে সে’। খালি গায়ে হত্যার পর সে রক্তমাখা তোয়ালে ও চাপাতি মাছের ঘেরে ফেলে দেয়। পরে ঘের থেকে তার দেখানো মতে তা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ডিআইজি।
কেন সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে- এর জবাবে রায়হানুলের বরাতে সিআইডি অফিসার জানান, রায়হানুল একজন বেকার যুবক। ৯/১০ মাস আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। সেই থেকে সে ভাইয়ের সংসারে খাওয়া দাওয়া করতো। নিজে কোনও কাজ করে না, খরচও দেয় না। এসব কারণে প্রায়ই ভাই-ভাবীর সঙ্গে তার ঝগড়া হতো। তারা তাকে গালাগালও দিতো।
রায়হানুলের জবানবন্দির বরাতে তিনি আরও জানান, ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভাবীর সঙ্গে তার একই বিষয়ে বাদানুবাদ হয়। ভাবী তাকে বকাবকি করেন। পরে সে ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায় ভাবী ও তার দুই সন্তানকে। এতে তারা ঘুমিয়ে পড়ে।
রায়হানুল আরও জানিয়েছে, ‘রাত দেড়টার দিকে সে ঘরে বসে টিভি দেখছিল। এ সময় তার ভাই শাহিনুর ঘের থেকে এসে তাকে বকাবকি করে বলেন, এতো টিভি দেখিস, বিদ্যুতের বিল দেবে কে’। এ নিয়ে তাকে খানিকটা বকেনও শাহিনুর।
জবাবে রায়হানুল তাকে জানায়, ‘তুমি মাথা ঠাণ্ডা করো, এবারের বিদ্যুৎ বিল আমি দিয়ে দেবো। এই বলে সে তাকেও ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংক খাওয়ায়। পরে শাহিনুরও ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় সে এক এক করে তাদের খুন করে।
প্রায় ২০ মিনিটের এই প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, হত্যার সময় রায়হানুলের সঙ্গে আর কেউ ছিল না। কেবলমাত্র ভাই-ভাবীর বকাবকির কারণেই সে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে সিআইডিকে। রিমান্ডে থাকা রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর রাতে কলারোয়ার খলিসা গ্রামে একই পরিবারে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সেদিনই পুলিশ ঘাতক ভাই রায়হানুলকে গ্রেফতার করে।
muktiralo24.com // reza
10 October 2020 08:41 pm
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলায় মেয়ে জামাতাকে আটকের নাটক সাজিয়ে শাশুড়ির কাছ থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পটুয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের এসআইসহ কয়েক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
ভুক্তভোগীরা জানান, দাবি অনুযায়ী সব অর্থ পরিশোধ না করায় মিথ্যা মামলা, এলাকা ত্যাগ, ভয়-ভীতিও প্রদর্শন করেছে অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যসহ তাদের একটি দালাল চক্র। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশে কর্মরত এসআই রফিকুল ইসলাম, সদস্য ইব্রাহীম ও মামুনকে অভিযুক্ত করে নিয়াজ মোর্শেদ শুভ নামে এক যুবক এসপির কাছে লিখিত অভিযোগের সঙ্গে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কিছু আলামতও দাখিল করেছেন।
ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় পটুয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশ সদস্য ইব্রাহীম ভিকটিম শুভকে ফোন করে অবস্থান নিশ্চিত করে। এরপর ডিবি পুলিশের এসআই রফিকের সঙ্গে শুভর ফোনালাপ করিয়ে শহরের বনানী এলাকায় থেকে শুভকে তুলে লঞ্চঘাটস্থ আবাসিক হোটেল কিসমতে নিয়ে যায়। হোটেল কিসমতের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে সম্প্রতিকালে শহরের মাদক ব্যবসায়ী মলিকে থাপ্পর দেয়ার অজুহাতে শুভকের চরথাপ্পর মারা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের ওই অভিযানে এসআই রফিক, পুলিশ সদস্য ইব্রাহীম ও মামুন ব্যতীত আরো এক বহিরাগত যুবককে পুলিশ পরিচয়ে অভিযানে অংশ ঘটায়। অথচ ওই যুবকের সঙ্গে পুলিশের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্র দাবি করেন। এসআই রফিক টিমে লোক সঙ্কট থাকায় ওই যুবককে পুলিশ পরিচয়ে ভাড়ায় আনা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
হোটেল কক্ষে অবরুদ্ধ করে মোবাইল ফোন নিয়ে শুভ’র শাশুড়ি লাইজু আক্তারকে ফোন করে জানায়, শুভকে মাদকসহ আটক করা হয়েছে। ছাড়াতে হলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। পুলিশের ফোন পেয়ে শুভ’র শাশুড়ি চমকে ওঠে শুভ’র সাথে কথা বলতে চাইলে কথা বলতে দেয়া হয়নি। দুই-তিন ঘন্টার রফাদফার এক পর্যায় দুই লাখ টাকা মুক্তিপনে শুভকে ছেড়ে দেয়ার চুক্তি হলে ওই রাতেই শুভ’র শাশুড়ি দিকব্দিক ছোটাছুটি এবং ঘরে থাকা একটি ব্যাংক ভেঙে ৪৫ হাজার টাকা যায়-জোগার করে। একই সময়ে শুভ’র বিকাশ থেকে আরো ১২ হাজার টাকাসহ মোট ৫৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বাকি ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা পরদিন সকালে র্নিধারিত স্থানে পৌছে দেয়ার চুক্তিতে শুভর মোবাইল সীম ও ম্যানি ব্যাগ জব্দ করে রাত ১টার দিকে শুভকে ছেড়ে দেয়া হয়। শুভ‘র অভিযোগ-শুভ‘র ব্যবহৃত ফোন নিয়ে শুভকে আটকের নাটক সাজিয়ে কৌশলে তার শ্বাশুড়ির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
ঘটনার দুইদিন পরে ৭ অক্টোবর বাকি টাকা না দেয়ায় শুভ‘র শ্বাশুড়ীকে সড়কে অবরুদ্ধ করে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও হুমকী দেয়ার ঘটনায় চরম আতংকে রয়েছে ভুক্তভোগীরা।
শুভ‘র শ্বাশুরীর অভিযোগ, গত ৫ অক্টোবর আনুমানিক সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশ ইব্রাহীম ফোন করে জানায়, তার জামাতা শুভকে জিনিসসহ আটক করছি। দ্রুত পাঁচ লাখ টাকা নিয়া আসেন। ‘টাকা না দিলে শুভকে চালান দিমু।’ অনেক অনুনয়ের পরে দুই লাখ টাকায় শুভকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়। পরে ওই রাতে ঘরে সংরক্ষিত একটি ব্যাংক এবং ধারদেনা করে ৪৫ হাজার টাকা জোগার করে এসআই রফিক গংদের হাতে দিলে দুই লাখের বাকি টাকা পরদিন দেয়ার চুক্তিতে শুভকে ছেড়ে দেয়।
ছেড়ে দেয়ার একদিন পর শুভ‘র শ্বাশুরী লাইজুর কর্মস্থল শহরের পিটিআই রোড এ্যাপোলো হসপিটালে বাকি টাকা আদায়ে যায় ডিবি পুলিশ সদস্যরা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা না দেয়ায় ৭ অক্টোবর সকালে শুভ‘র শ্বাশুরী লাইজু আক্তার কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল সড়কস্থ এলাকায় মটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে তার গতিরোধ করে ইব্রাহীম। এসময় টাকা না দেয়ার অপরাধে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ডিবি পুলিশ সদস্য ইব্রাহীম। শুধু গালমন্দ নয়-যে কোন উপায়ে মাদক মামলায় ফাসিয়ে জেলে পাঠানো এবং শহর ছাড়া করার হুমকি দেয়া হয় লাইজুকে।
ওই দিন রাতেই পৌনে ১১টার দিকে-০১৭১৭৪০৭৮৪৭ নম্বর থেকে সাংবাদিক পরিচয়ে শুভকে ফোন করে বাকি টাকা পরিশোধ ডিবি পুলিশের সাথে সমন্বয় করার পরামর্শ দেয়। ওই দালাল চক্রটির ৮ মিনিট ২৬ মিনিট কথোপকথনে শুভকে হুমকী-ধামকী দেয়ার একটি অডিও রের্কড প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। এছাড়াও টাকা হাতিয়ে নেয়া, হুমকী দেয়ার একাধিক ফোনালাপ রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই তিন যুবকের মধ্য একজনের নাম জলিলুর রহমান সোহেল। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ডিবি পুলিশ সদস্য ইব্রাহীম বলেন-ওই ভাবেই কোন কিছু‘ই হয়নি। ওরা বানোয়াট করছে।
অভিযুক্ত ডিবি এসআই রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি এ ধরনের না। মূলত একটি ফেন্সিডিলের চালান ধরা হয়। চালানের টাকা লেনদেনের বিষয়টি শুভ জানে তাই তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। তবে পরে শুনেছি ইব্রাহিম নাকি শুভ’র শাশুড়ীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। এ বিষয়ে শুভ অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয় তদন্ত করছেন। এব্যাপারে তদন্তকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি চিঠি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
muktiralo24.com // reza
09 October 2020 02:30 pm
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া এলাকায় তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক বাড়ির মালিককে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক জয়ন্ত কুমার সাহা।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হেলাল উদ্দিন শেখ (৫৭)। তিনি আশুলিয়ার তৈয়বপুরে নিজ বাড়িতে বাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর গ্রামে। তার বাবার নাম ফয়েজউদ্দিন। তিনি আশুলিয়ায় বাড়ি করে বসবাস করছেন।
তার বাড়িতে ভাড়া থাকত ধর্ষণের শিকার শিশুদের পরিবার। ধর্ষণের শিকার তিন শিশুর দুজন যমজ বোন।
আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায়, যমজ দুই বোনের বাবা ও মা আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তারা হেলাল উদ্দিনের বাসায় ভাড়া থাকতেন। গত মঙ্গলবার বাবা ও মা কর্মস্থলে যাওয়ার পর যমজ দুই বোন বাসায় ছিল।
দুপুরে বাড়িওয়ালা হেলাল উদ্দিন ওই যমজ দুই বোন ও তাদের প্রতিবেশী এক শিশুকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ধর্ষণ করে। রাতে কর্মস্থল থেকে অভিভাবকরা বাসায় ফেরার পর শিশুরা ধর্ষণের কথা জানায়।
জানাজানি হওয়ার পর হেলাল উদ্দিন বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার কোনো এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে হেলাল উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক জয়ন্ত কুমার সাহা জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই মামলায় হেলালকে গ্রেফতার দেখানো হবে। আজই তাকে আদালতে তোলা হবে। সেই সঙ্গে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শিশুদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হবে।
muktiralo24.com // reza