১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২০-৫৩ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে বিএনপির দুটি গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। মারামারি ও ককটেল বিস্ফোরনে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সভা শেষ করে বিকেলে কালীগঞ্জ থানা সড়কের দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও তার সমর্থকরা। হঠাৎ পেছন থেকে ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ধাওয়া করেন। পাল্টা ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় অন্তত তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পুলিশ সেখানে পৌছে ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তারা তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে দুই রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাইদুল বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হেটে দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে কয়েকজন। তারা সবাই হামিদুল ইসলাম হামিদের অনুসারী। আমাদের পাল্টা প্রতিরোধে তারা পিছু হটে।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, ‘ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে পদ না পাওয়া হামিদের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ধাওয়া করে।’
সাবেক ছাত্রনেতা হামিদুল ইসলাম হামিদ বলেন, ‘আমি মারামারির বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে রনি নামে আমার এক কর্মী আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।’
মুক্তিরআলোটুয়েন্টিফোর.কম / রেজা